মোঃ ইকবাল হাসান সরকারঃ
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, জনসমাবেশে বা সভাস্থলে যদি কিছু না ঘটে থাকে তবে তার দায় আওয়ামী লীগ নেবে কেন? তবে বাইরে কিছু ঘটে থাকলে তার দায় সরকারের আছে। জনসমাবেশকে কেন্দ্র করে বাইরে কিছু ঘটলে তা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গতকাল বিকালে আওয়ামী লীগের ধানমন্ডির নির্বাচন পরিচালনা কার্যালয়ে দলটির দফতর উপকমিটির প্রথম বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। বিকাল ৪টায় দফতর উপকমিটির সদস্যের সঙ্গে একান্তে বৈঠকে বসেন ওবায়দুল কাদের। বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি। শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। জনসভায় কোনো ব্যক্তি বা দলকে আক্রমণ করে প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য দেননি দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এগিয়ে যাওয়া জাতির মুক্তির রূপরেখা ঘোষণা করেছেন। তিনি কথা বলেছেন আগামী নির্বাচন নিয়ে। সে নির্বাচনে যাতে কোনো জঙ্গিবাদী, সাম্প্রদায়িক শক্তি ক্ষমতায় আসতে না পারে। এতে বিএনপির অন্তর্জ্বালা কেন? সামনে নির্বাচন। দলের সভানেত্রী হিসেবে তিনি সমাবেশে ভোট চাইতেই পারেন। এটা তো কারও আঁতে ঘা লাগা বা অন্তর্জ্বালার বিষয় না। ‘সিনিয়র নেতাদের গ্রেফতার করা হয়েছে’ বিএনপির এমন অভিযোগ নিয়ে করা অপর প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, সিনিয়র নেতা যাদেরকে বুঝায় এমন কোনো নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে আমার জানা নেই। তিনি বলেন, গতকাল (বুধবার) দেখলাম বিএনপির যারা সিনিয়ির নেতা তারা কারাগারে গিয়ে দলটির চেয়ারপারসনের সঙ্গে দেখা করেছেন। ঘণ্টাব্যাপী কথা বলেছেন। দেখলাম তারা হাসি মুখে বেরিয়ে এসেছেন। বিএনপি নিজেরাই কর্মসূচি দিয়ে মারামারি, হাতাহাতি করে মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, এর দায় তারা সরকারের ওপর চাপাতে চায়। সব বিষয়ে তারা সরকার নামের নন্দলালের ঘাড়ে দোষ দেয়।
৭ মার্চের জনসমাবেশে জন-কলহ বা দ্বন্দ্বের একটি প্রমাণও নেই উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, খুবই সুশৃঙ্খল একটি সমাবেশ হয়েছে। জনসমুদ্রের সমাবেশে শুধু আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরাই আসেননি। এখানে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সব শ্রেণির মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেছেন। ঢাকা ও আশপাশের সব রাস্তা ও নদীর ধারা জনস্রোত পরিণত হয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এসে মিশেছে। এটি একটি ঐতিহাসিক জনসভা। তিনি বলেন, অনেকে বিশ্বাসই করতে চায়নি এত বড় সমাবেশ হবে। কিন্তু আমরা বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসের একটি স্মরণকালের সর্ববৃহৎ সমাবেশ করতে সক্ষম হয়েছি। এর আগে এত বড়, এত কালারফুল সমাবেশ কেউ করতে পারেনি। শুধু ঢাকাতেই না; এর আগে ঢাকার বাইরে সিলেট, বরিশাল, রাজশাহী, খুলনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সমাবেশ করেছেন সেগুলোতেও স্মরণকালে সর্ববৃহৎ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় উপস্থিত ছিলেন দলটির দফতর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, উপ-দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-কমিটির সদস্য নাসিম আল মোমিন রূপক, খন্দকার তারেক রায়হান, মেহেদী হাসান, দেলোয়ার রহমান দিপু, শাহীন আহমেদ, ইস্কান্দার মির্জা প্রমুখ।
প্রাইভেট ডিটেকটিভ/৯মার্চ২০১৮/ইকবাল